টেক জায়ান্ট অ্যাপলের ক্লাউড সেবা আইক্লাউডে বিনামূল্যে ৫ গিগাবাইট স্টোরেজ পাওয়া যায়। এতে ছবি, ভিডিও, নোট ইত্যাদি অনলাইনে সংরক্ষণ করা যায়।
ইদানিং সবাই এত কিছু অনলাইনে রাখেন যে ওই স্টোরেজ প্রায়ই পূর্ণ হয়ে যায়। তখন অতিরিক্ত স্টোরেজ কেনার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হয়। এমন হলে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে স্টোরেজ শেষ হওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন ব্যবহারকারীরা।
এ টিউটোরিয়ালে তুলে ধরা হলো আইক্লাউডের স্টোরেজ ঝামেলা থেকে মুক্তির তিন কৌশল।
টিপসগুলো জানার আগে স্টোরেজ সম্পর্কে জানার উপায়টি বলে দেওয়া যাক।
আইক্লাউডের স্টোরেজ চেক করার জন্য প্রথমে সেটিংস থেকে আইক্লাউডে যেতে হবে। তারপর ‘storage’-এ গিয়ে ‘manage storage’-এ গেলে স্টোরেজ সম্পর্কে জানা যাবে।
পুরানো ব্যাকআপ মুছে ফেলা
আইক্লাউডের পুরানো ব্যাকআপ মুছে স্টোরেজ বৃদ্ধি করা যায় অনায়াসে। দীর্ঘদিনের জমে থাকে অপ্রয়োজনীয় ছবি, নোট, ভিডিও ফাইলগুলো অযথা জয়গা দখল করে রাখে।
এ ফাইলগুলো মুছে আইক্লাসউডের স্টোরেজ বৃদ্ধি করা যাবে। আইক্লাউডের ব্যাকআপ অপশন থেকে ‘delete backup’ অপশনে ক্লিক করেই ব্যাকআপ ডিলেট করা যাবে।
ব্যাকআপ সেটিংস পরিবর্তন
আইক্লাউডে ফাইল সংক্ষরণের বিষয়টি সেটিংস থেকে নির্ধারণ করা যায়। তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেক ফাইল বা অ্যাপের ব্যাকআপ সংস্করণ থাকে। যেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো হয়তো প্রয়োজন নাও হতে পারে।
তাই আইক্লাউড সেটিংস থেকে ব্যাকআপ সেটিং পরিবর্তন করে দিতে হবেপ্রয়োজন অনুযায়ী।
এরপর ‘setting’ থেকে ‘icloud’-এ যেতে হবে। তারপর যেখান থেকে কোন আইটেমের আইক্লাউড সংস্করণ করতে হবে তা নির্ধারণ করা যাবে।
ছবি সংস্করণে বিকল্প সেবা ব্যবহার
আইক্লাউডে অধিক ছবি রাখার ফলে স্টোরেজ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। তাই ছবি অনলাইনে সংরক্ষণের জন্য গুগল ফটোস, ফ্লিকার, ওয়ানবক্স ইত্যাদি বিকল্প সেবাগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
এতে ছবির জন্য আইক্লাউডের স্টোরেজ দ্রুত শেষ হওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।