রিঅ্যাক্ট জেএস জেএস(React JS) কি এবং কেন শেখা উচিত? রিঅ্যাক্ট এর কাজ কি? এটি নিয়ে অনেকেই মনে প্রশ্ন থাকে। React JS বই ও টিউটোরিয়াল অনলাইনে খুঁজেন অনেকেই। এই রিঅ্যাক্ট জেএস টিউটোরিয়াল সিরিজটিতে বাংলা ভাষায় সহজেই বিষয়টি সম্পর্কে তুলে ধরা হবে। বর্তমানে সময়ে সারা বিশ্বে প্রায় ৪৫ শতাংশ ওয়েবসাইট রিঅ্যাক্ট জেএস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট খাতে রিঅ্যাক্ট জেএস চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক মনে নিশ্চয় এমন প্রশ্ন উকিঁ দিচ্ছে রিঅ্যাক্ট জেএস কি? চালুন উত্তর খুঁজি।

রিঅ্যাক্ট জেএস জেএস কি?(What is react?)

খুব সহজ ভাষায় যদি বলি রিঅ্যাক্ট জেএস জেএস একটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স ফ্রন্ট এন্ড জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরি। মূলত এটি তৈরি করা হয়েছে ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করা জন্য। এটির ইউআই কম্পোনেন্টের সাহায্যে কম কোড লেখি কিংবা একাধিক কোড বার বার না লিখে কাজ করে ফেলা যায়।

আমরা যখন কোন ওয়েবসাইটে ভিজিট করি, তখন কোন ওয়েবসাইট কোন ডাটা যদি পরিবর্তন হয় তাহলে রিঅ্যাক্ট জেএস শুধু মাত্র পরিবর্তন অংশটুকু লোড করে। বাকি অপরিবর্তন না হওয়া পুরাতন ডাটা আগের মতই রেখে দেয়। ফলে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অনেক বাড়ে। ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে বেশ সুবিধা পায়। মূলত এই সমস্যাটি সমাধান করে রাখে রিঅ্যাক্ট , এছাড়া আরো বিভিন্ন কাজ করা হয় রিঅ্যাক্টের  সাহায্যে। এই সিরিজ লেখার সামনে সিরিজগুলোতে বিস্তারিত সম্পর্কে আমরা জানতে পারব।

রিঅ্যাক্ট  জেএস এর ইতিহাস(History of React.js)

সময়টা ২০১১, সিলিকন ভ্যালিতে ফেসবুকে হেড অফিসের জরুরি সভায় বসেছেন ফেসবুকের ডেভেলপাররা। ফেসবুকের আইটি টিম একটি সময় পরেছেন।

তাদের মূল সমস্যাটি হলো, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ফেসবুকের ব্যবহারকারী বড়ছে। ব্যবহারকারীদের কাছে টার্গেট অডিয়েন্স অনুযায়ী এডড দেখানোর জন্য ফেসবুক এড-এ অনেক নতুন ফিচার যুক্ত করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এত সব ফিচার যুক্ত করতে অনেক কোড লিখতে হচ্ছে। সেগুলো দেখাশোনার জন্য আরো অনেক নতুন ডেভেলপার নিয়োগ করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, লাখ লাখ লাইন কোড ম্যানেজ করাটাও কঠিন হয়ে যায় অনেক সময়।

এই সমস্যা সমাধানের জন্য কি করা এমন বিষয়গুলো নিয়ে সভা হয়েছিল। সেই মিটিংয়ে ছিলেন ফেসবুকের ইন্জিনিয়ার জর্ডান ওয়াক (Jordan Walke)। কিছুদিন পরেই তিনি একটি সমাধান বের করলেন। সেই সমাধানের নামই হলো  জেএস। এই লাইব্রেরিটি ব্যবহার করার ফলে ফেসবুকের ইঞ্জিনিয়ারদের একই কোড বার বার লেখার ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। সেই সময় ফেসবুকে নিউজ ফিড রিঅ্যাক্ট জেএস নিয়ে তৈরি করা হয়।

তবে অফিসিয়াল ভাবে রিঅ্যাক্ট জিএস উন্মোচন হয় ২৯ মে ২০১৩ সালে। অথাৎ আজ থেকে প্রায় ৯ নয় আগে। সর্বশেষে রিঅ্যাক্ট জেএস নতুন সংস্করণ উন্মোচন হয় ২৬ এপ্রিল ২০২২ সালে। react 18.1.0 নামে পরিচিত।

কেন শিখবেন রিঅ্যাক্ট জেএস?( Why you should learn ReactJS):

রিঅ্যাক্ট জেএস কেন শেখা উচিত, এমন প্রশ্ন নতুনরা অনেকই করেন। তবে যদি প্রশ্নটি একটু ভিন্নভাবে করি কেন রিঅ্যাক্ট জেএস শিখাবেন না? আসলেই তাই, আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে রিঅ্যাক্ট জেএস শেখা উচিত। কেননা বর্তমান পৃথীবিতে ৪৫% ওয়েবসাইট এটি দিয়ে তৈরি। সামনে আরো বাড়বে নিশ্চিত।

রিঅ্যাক্ট জেএস ব্যবহার করে যে কোন ওয়েবসাইটকে দ্রুত লোড করা যায়। ফলে ব্যবহারকারীরা খুব ভালো ইউজার এক্সপেরিয়ান্স পায়।

রিঅ্যাক্ট জেএসের অনেক প্লাগিং রয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করে সহজেই জটিল বা কঠিন ইউআইয়ের কাজ করা যায়।

এছাড়া কম্পোনেন্ট রিউইজ করা যায়।

সবচেয়ে দারুণ একটি ব্যাপার হলো আপনি রিঅ্যাক্ট জিএস শেখার পরে রিঅ্যাক্ট নেটিভ দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন।

বন্ধুদের জানিয়ে দেন
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments