বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার শহরের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি নিউজের এক প্রতিবেদনে এই খরবটি প্রকাশ করা হয়।
সংবাদে জানা যায়, ফাহিমের শরীরের হাত-পা, মাথা সবকিছু খণ্ড-বিখণ্ড ছিল। ফাহিমের বোন তার খোঁজ না পেয়ে ৯১১ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
তিনি জন্মগ্রহন করেন ১৯৮৬। তাঁর বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে আর মা নোয়াখালীর মানুষ।ফাহিম পড়াশোনা করেছেন ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ফাহিম সালেহের প্রথম উদ্যোগ PrankDial.com বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এটির মাধ্যমে কণ্ঠস্বরে বদল এনে নানা রকম মজা করতে পারেন, মানে বন্ধুদের বোকা বানাতে পারেন। অনেক মানুষ প্রাংক কল কেনার জন্য অর্থ ব্যয় করতো। যা দিয়ে তিনি এই কোম্পানিকে আরো বড় করেন। লেখাপড়া শেষে চাকরি পিছনে ছুটেনি তিনি।
কালের কন্ঠে এক সাক্ষাৎকারে ফাহিম সালেহ বলেছিলেন, ২০০৯ সালের কথা। আমি তখন সবে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছি। চাকরি পাওয়া তখন কঠিনই ছিল। আমি নিউ ইয়র্ক আর বোস্টন শহরের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনপত্র পাঠালাম। একসময় বোস্টন থেকে একটা চাকরির অফার এলো; কিন্তু আমি আসলে নিউ ইয়র্ক ছাড়তে চাইছিলাম না। তাই বললাম, দুই সপ্তাহ পরে জানাব। PrankDial.com ওই দুই সপ্তাহেই তৈরি হয়েছিল।
গত বছর ২.২ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ম্যানহাটনের ডাউনটাউনে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন ফাহিম। নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা সার্জেন্ট কার্লো নিভস জানান, ওই অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই তার খণ্ডবিখণ্ড অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে। ‘ঘটনাস্থলে আমরা খণ্ড দেহ, বিচ্ছিন করা মাথা ও হাত পা পেয়েছি। সবকিছু এখনও সেখানে আছে।’
খুব আপসেট নিউজ! এতো গুরুত্বপূর্ণএকজন মানুষ এভাবে ছিন্নভিন্ন হবে, ভাবাই দায়! তাও উন্নত এক নিরাপদ রাষ্ট্রে! 😑
আল্লাহ ফাহিম ভাই-কে কবুল করুন!
এত নিরাপদ একটা দেশে 🙁 এভাবে খুন সত্যি ভাবা যায় না ভাই।